সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
এম এইচ শান্ত : শুকনো মৌসুমে এই চিত্র হরহামেশাই দেখা মেলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে। ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন নৌরুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হয় ডুবোচরের কারণে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে নদের উপর একটি ব্রিজের দাবি দীর্ঘদিনের।
কুড়িগ্রামে দেশের বৃহৎ নদ ব্রহ্মপুত্রে একটি সেতু হলে দেশের যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা দুয়ার তৈরি হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও বড়সড় একটি সার্ভের পর নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। কুড়িগ্রামের চিলমারী আর রৌমারী উপজেলাকে বিভক্ত করেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। রংপুর বিভাগের মূল ভূখণ্ডে চিলমারী আর রৌমারী যুক্ত ময়মনসিংহ বিভাগের ভূখণ্ডের সাথে। তাই ব্রহ্মপুত্র সেতু হলে সোনাহাট স্থলবন্দর, নৌবন্দর, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর এই রুটে যুক্ত হবে।রাজধানীর সাথে যাতায়াতে বঙ্গবন্ধুর সেতুর উপর কমবে চাপ।
সময় বাঁচবে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। আবার রেল যোগাযোগও উন্নয়ন হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগজুড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে নানা কাজে সেখানে গিয়েই থাকতে হয়। সবার পক্ষে সেখানে থাকা সম্ভব নয় আর্থিক কারণে। তবে ব্রহ্মপুত্রের ওপর একটি ব্রিজ হলে আমরা দিনের কাজ দিনে করেই চলে আসতে পারি। গত বছরের নভেম্বরে সেতু কর্তৃপক্ষের গঠিত একটি টিম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিবেদনে জমা দেয়।
সেখানে রৌমারী উপজেলার বলদমারা থেকে চিলমারী উপজেলার ফকিরের হাট পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার এবং চররাজিবপুর থেকে চিলামারী পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার দু’টি জায়গায় নির্ধারণ করা হয়, যা নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী বলে মত দেয়া হয়েছে। এনিয়ে সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, এখানে আরও বিশাল সার্ভে হবে। আর্থিক বিষয় আছে, পরিবেশগত দিকও দেখা হবে। সবমিলিয়ে এরপর আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসবো।
উন্নয়নের মেগা প্রকল্পের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ব্রহ্মপুত্র সেতুকে অন্তর্ভুক্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেনের।